পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজই ডেভিড ওয়ার্নারের ক্যারিয়ারের শেষ সিরিজ।সিডনি টেস্ট খেলেই সাদা পোশাক তুলে রাখবেন বলে জানিয়েছিলেন। তার আগেই সীমিত ফরম্যাটের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং ব্যাটার।ওয়ানদে ক্রিকেট্রে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে আর দেখা যাবে না তাকে। সিডনিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তিনি।

সোমবার (১ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে ওয়ার্নার জানান, তিনি আর দেশের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেট খেলবেন না। টেস্ট থেকেও আগেই বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে এখন শুধু টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে দেখা যাবে তাকে। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) চাইলে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলবেন বলে জানিয়েছেন ওয়ার্নার।

সংবাদ সম্মেলনে ওয়ার্নার শেষ বলেন, ‘অবশ্যই আমি ওয়ানডে থেকেও অবসর নিচ্ছি। ব্যাপারটা আমি বিশ্বকাপজুড়েই বলে আসছিলাম। এর মধ্যেই ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ জিতলাম, যেটা অনেক বড় অর্জন। সুতরাং, আজ আমি দুটি সংস্করণ থেকেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।যা আমাকে বিশ্বজুড়ে লিগ খেলার সুযোগ করে দেবে।’

তার এই অবসরের ফলে দলে নতুনদের সুযোগ হবে এবং সেটা দলের জন্যেই ভালো জানিয়ে ওয়ার্নার আরও বলেন, ‘আমার অবসর ওয়ানডে দলকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেবে। আমি জানি সামনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আছে। সামনের দুই বছর আমি যদি ভালো ক্রিকেট খেলি এবং দলের কাউকে দরকার হয়, তবে আমি থাকব।’

ওয়ার্নারের ভাষ্যমতে, ওয়ানডেতে ওয়ার্নারের সর্বশেষ ম্যাচ হয়ে থাকলো গত বছরের ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের বিশ্বকাপ ফাইনাল। যে ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে নিজেদের ইতিহাসে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ ট্রফি, ওয়ার্নার শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন দ্বিতীয়বার।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২০০৯ সালে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় ওয়ার্নারের।এক যুগের বেশি সময়ে খেলেছেন ১৬১টি ওয়ানডে, যেখানে ৪৫.৩০ গড়ে করেছেন ৬ হাজার ৯৩২ রান। রানের দিক থেকে অস্ট্রেলিয়ার ষষ্ঠ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। এ সংস্করণে ২২টি শতক আছে তার, এদিক থেকে তার উপরে এবং প্রথম স্থানে আছেন রিকি পন্টিং (৩০)।